• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

বান্দরবান

অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ২ সদস্য আটক

  • ''
  • প্রকাশিত ০৮ এপ্রিল ২০২৪

বান্দরবানের রুমা উপজেলা থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আরও দুই সদস্যকে আটক করা হয়েছে। যৌথ বাহিনীর অভিযানে তাদের আটক করা হয়।

সোমবার (৮ মার্চ) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

আইএসপিআর জানায়, রুমা উপজেলার বেথেলপাড়ায় আজ যৌথ বাহিনীর তল্লাশি অভিযানে দুজন কেএনএফ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া সাতটি দেশি বন্দুক, ২০ রাউন্ড গুলি, ল্যাপটপ, ইউনিফর্ম ও বুট উদ্ধার হয়েছে।

এর আগে রোববার (৭ এপ্রিল) বান্দরবানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে কয়েকজন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। এ সময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র জব্দের কথাও জানান তিনি।

সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের বক্তব্যের পরপরই র‌্যাব জানায়, বান্দরবানে এক বিশেষ অভিযানে কেএনএফের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক চেওসিম বমকে আটক করেছে র‌্যাব। বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের শ্যারনপাড়ার বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।

এদিকে কেএনএফ তাণ্ডবের ঘটনায় বান্দরবান জেলাজুড়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের সাঁজোয়া যানসহ বিভিন্ন ধরনের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি উপজেলায় ব্যাংক বন্ধ থাকায় বান্দরবান জেলা সদরে সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় গ্রাহকের ভিড় বেড়েছে।

কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা মারমার নেতৃত্বে ‘শান্তি প্রতিষ্ঠা’ কমিটি গঠন করা হয় গত বছরের মে মাসে। ওই কমিটির সঙ্গে গত ৫ মার্চ দ্বিতীয় দফা বৈঠক হয় বেথেল পাড়ায়। শান্তি আলোচনার মধ্যেই ২ এপ্রিল বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে ও পরদিন ৩ এপ্রিল থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে হামলা চালিয়ে ১৭ লাখ টাকা লুট, দুটি লাইট মেশিনগানসহ (এলএমজি) ১৪টি অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায় কেএনএফ সদস্যরা।

পাশাপাশি সোনালী ব্যাংক রুমা শাখার ব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে তারা। পরে ম্যানেজারকে উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরপর দুই উপজেলায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পর এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

কেএনএফ ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে তৎপরতা শুরু করে। পাহাড়ে তাদের আস্তানায় সমতলের নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়ার সদস্যরা সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এর আগেও গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল।

সেই আস্তানায় গত বছর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়া ও কেএনএফের বেশ কিছু সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভেঙে দেওয়া হয়েছিল তাদের আস্তানা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads